দীঘ ৬ বছর ও স্বাধীনতার পর এই প্রথম লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সাজো সাজো রবের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার কালীগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে এ সম্মেলন স্থল যেন জনসভায় রুপ লাভ করে। দুপুর হতেই কালীগঞ্জ -আদিতমারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে দলীয় নেতাকর্মীরা সম্মেলনে যোগদান করতে নিজ নেতাদের সমর্থনে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলেও প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহাজান খান উপস্থিত হওয়ার পর লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভপতি, রংপুর বিভাগের দুবারের শ্রেষ্টত্ব অর্জনকারী কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৪ ও ২০১৯ এর নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী হিসাবে পরপর দুইবার নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, তৃনমূল আওয়ামী লীগের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিক মাহবুবুজ্জামান আহমেদ এর নেতৃত্বে ৫ হাজার কর্মী সমর্থকদের একটি মিছিল সম্মেলন স্থলে এসে যোগদান করলে মিছিলটি সবার নজর কাটতে সক্ষম হয়। এ সময় তৃনমুল নেতা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ তার নিজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মঞ্চের সামনে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই মাঠে বসে সম্মেলনের শেষ অবদি পর্যন্ত সবার বক্তব্য শোনেন।

জানা গেছে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন লালমনিরহাট -২ আসন হতে নির্বাচিত, মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ ও তার পুত্র আর অপর অংশে রয়েছেন মন্ত্রী মহোদয়ের আপন সহোদর ছোটভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তৃনমুল জননেতা মাহবুবুজ্জামান আহমেদ। আর এ গ্রুপিং থাকার কারনে ছোটভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে দাওয়াত করা হয়নি। তাকে সম্মেলন মঞ্চ হতে বিরত রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু দাওয়াত না পেয়েও দলের প্রতি ভালবাসা, সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করা, ঢাকা হতে আগত নেতাদের সম্মানার্থে তাদের স্বাগত জানাতেই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সম্মেলন স্থলে হাজির হন। আর তাকে মঞ্চে নেয়া না হলেও তিনি মঞ্চের সামনে নিচে বসে সবার কথা শোনেন।

মাননীয় সমাজকল্যানমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজুর সন্চালনায় ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী শাহাজান খাঁন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য সফুরা বেগম রুমি, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, লালমনিরহাট -১ আসনের এমপি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড মতিয়ার রহমান প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনে পুনরায় নুরুজ্জামান আহমেদ কে সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজুকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।